Monday, 23 March 2015
নতুন সকাল
রাতের আঁধারে ঝিঁঝিঁ পোকা
কেঁদে মরে মাথা কুটে।
অর্জুন গাছের পাতার ফাঁকে
জোনাকিরা জ্বলে ওঠে।
রাতে চাঁদ নেই আকাশে,
তারারা আকাশের গায়।
গাঁয়ের নদী, কুলু কুলু রবে
সাগরের পানে ধায়।
হৃদয়ে জমানো ব্যথার পাহাড়
কেড়ে নেয় রাতের ঘুম।
রাতের আঁধার ধরণীর বুকে
শুয়ে থাকে নিঝ্ঝুম।
রাতের শেষে ভোরের আকাশে
শুকতারা কথা কয়।
গাছে গাছে শুনি, পাখিদের গান
নতুন সকাল হয়।
Saturday, 21 March 2015
বসন্তের আগমনীবার্তা (স্তোত্র পাঠ)
বসন্তের নব প্রভাতে,
শুক্লপক্ষের পূণ্য লগ্নের শুভক্ষণে,
বসন্তের দূত কোকিলের কণ্ঠে
নব বসন্তের আগমনীবার্তা।
অসীম ছন্দে বেজে ওঠে
ঊর্ধ্বলোক। মর্ত্ত্যলোক
ধাম তথা
সারা মর্ত্ত্যবাসী ভক্তি সহকারে
দেবী বাসন্তীর আরাধনায় রত হয়।
আকাশে বাতাসে শিহরণ।
মা আসছেন।
বাতাসে তার পদধ্বনি।
দেবী দশভূজা, জননী জগদ্ধাত্রীর
আবির্ভাবে বাসন্তী পূজায়
মেতে ওঠে সমস্ত বিশ্ববাসী।
ততো মাম্ দেবতা সর্বেঃ
মর্ত্তলোকে চ মানবাঃ ।
স্তুবন্তি, পূজাম্যহং করিষ্যামি
ধরাতলে বাসন্তী দেবীকাং।।
ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি! ওঁ শান্তি!
এই বাসন্তী পূজা বাঙালীর
জাতীয় জীবনে সর্বাঙ্গীন।
তাই এই পূজায় স্তবমন্ত্রে
ধান্য, দূর্বা আর আম্রশাখায়
ভরা হয় পবিত্র মঙ্গলঘট।
জ্বলে ওঠে মঙ্গল প্রদীপ।
শংখধ্বনিতে আকাশ বাতাস
মুখরিত করে ধরাধামে
আবির্ভূতা হন দেবী বাসন্তিকা।
নমো দেব্যৈঃ মহা দেব্যৈঃ
শিবায়ৈ সততং নমঃ।
রূপং দেহি, জয়ং দেহি
যশো দেহি, দ্বিষো জহি।
ওঁ শান্তিঃ ! শান্তিঃ ! শান্তিঃ !
শান্তিঃ সামা! শান্তিরেধি
ওঁ আপদং শান্তিঃ
ওঁ যত্র এবাগত পাপং তত্রৈব
গচ্ছতু।
ওঁ শান্তিঃ !
ওঁ দ্বৌঃ শান্তিঃ !
ওঁ পৃথিবীঃ শান্তিঃ !
ওঁ শান্তিঃ ! শান্তিঃ ! শান্তিঃ !
Tuesday, 17 March 2015
বিদ্রোহের গান গাই
আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
আমি বিদ্রোহী কবি নজরুল।
কণ্ঠে আমার গীতাঞ্জলি,
আমি গান গাওয়া বুলবুল।
আমি বেদব্যাস, আমি কালিদাস।
আমি কবি হেম, মধু ও বঙ্কিম।
আমার কাব্য রক্ত ধারায়
হয়েছে আজি রক্তিম।
আমি দানব, মানব, দেবতার ত্রাস
আমি পৃথ্বীর মহাভুল।
আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
আমি বিদ্রোহী কবি নজরুল।
কণ্ঠে আমার গীতাঞ্জলি,
আমি গান গাওয়া বুলবুল।
আমি বিদ্রোহী চেঙ্গিস,
আমার খাপখোলা তলোয়ার।
সুজলা সুফলা ধরিত্রীর বুকে
রক্ত ঝরায়েছে বার বার।
আমি চির বিদ্রোহী অশান্ত,
আমি হই নাকো কভু ক্লান্ত।
আমি বিদ্রোহীর জাত, বিদ্রোহী
কবি,
দারুণ স্বেচ্ছাচারী।
শত্রুর খুনে রাঙিয়েছি আমার
হিংসা তরবারি।
আমি জিঘাংসায় উন্মাদ,
আমি কৃপাণ ঘুরায়ে ঘুচাবো, সবার রণসাধ।
আমি সংহার, আমি মহাকাল,
আমি পাষাণ-পাথরে ফোটাই ফুল।
আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
আমি বিদ্রোহী কবি নজরুল।
কণ্ঠে আমার গীতাঞ্জলি,
আমি গান গাওয়া বুলবুল।
আমি সাহারার বুকে মরূপ্রান্তরে, ঝঞ্ঝা ভয়ংকর।
আমি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ মরূপথে, রক্ত ঝরাই নিরন্তর।
আমি মিসিসিপি, আমি অ্যামাজন,
ডুবসাঁতারে ভেসে চলি আমি,
আমার গুরুগম্ভীর গর্জন।
আমি নদীবক্ষে কূল ভাঙা ঢেউ,
আমি একূল ওকূল ভাঙি দুইকূল।
আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
আমি বিদ্রোহী কবি নজরুল।
কণ্ঠে আমার গীতাঞ্জলি,
আমি গান গাওয়া বুলবুল।
কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজ,
বিদ্রোহ জীবন খাতার পাতায়।
দিকে দিকে আজ বিদ্রোহ তাই,
আমি বিদ্রোহের গান গাই।
Friday, 13 March 2015
ভালোবাসা মরে গেছে
হাজার টাকার ফুলদানিটা
পড়ে গিয়ে যদি ভেঙে যায়।
লক্ষ টাকার ঝাড় বাতিটা
দমকা হাওয়ায় যদি নিভে যায়।
দিনের শেষে লাল সূর্য যদি-
অন্ধকারের বুকে মুখ লুকায়।
তবে মিছেই কেন কাঁদিস ওরে
তুই জীবন নদীর কিনারায়।
সুখের সংসার গড়বো বলে
এলাম এই পৃথিবীতে।
সঙ্গী হলো জীবন সাথী,
জীবনের পথে চলতে।
অহংকারের ঘুর্ণিঝড়ে,
নিভে যায় প্রদীপশিখা।
অন্ধকারে পথ হারায়
তাই মায়াময় মরীচিকা।
জীবন নদীর ঘুর্ণি পাকে
ডুবলো আমার সকল আশা।
মনের কোণে হারিয়ে গেল
মোর প্রিয়তমার ভালবাসা।
Monday, 9 March 2015
রোদনভরা ফাল্গুনে
ফুল ফুটেছে, মৌ-বনে আজ
এলো না মধুকর।
প্রদোষকালে ঝঞ্ঝা বাতাস
ভাঙলো সুখের ঘর।
ছিন্ন গোলাপ কাঁদে পড়িয়া ধূলায়,
ডাকে মধুকরে, আয় কাছে আয়।
নয়নের জলে নদী বয়ে যায়,
নিঃশ্বাসে বহে ঝড়।
ফুল ফুটেছে মৌ-বনে আজ
এলো না মধুকর।
ফুল বাগিচায় ভোরের হাওয়ায়,
ফুটেছে কত ফুল,
অপ-দেবতার অভিশাপে
সব হয়ে গেছে ভুল।
দমকা হাওয়ায় নিভলো প্রদীপ,
ভাঙল ঝড়ে খেলা ঘর।
ফুল ফুটেছে মৌ-বনে আজ
এলো না মধুকর।
কামনার রাঙা গোলাপ
প্রেমের শতদল।
কামনার নদীতে আজ
কানায় কানায় পূর্ণ জল।
যৌবনে রং লেগেছে, তবুও
ব্যথায় ভরা মোর অন্তর।
ফুল ফুটেছে মৌ-বনে আজ
এলো না মধুকর।
ফাগুনের আগুনে পুড়ে গেল অন্তর,
হৃদয়ে আছে জমা বেদনার বালুচর।
মাঝ দরিয়ায় উঠল তুফান,
এলো ঝঞ্ঝা ভয়ংকর।
ফুল ফুটেছে মৌ-বনে আজ
এলো না মধুকর।
Subscribe to:
Posts (Atom)