Saturday, 28 February 2015

রাতের পৃথিবী


রাতের আকাশে
চাঁদ তারা হাসে,
নীল আকাশের গায়।

রাতের পৃথিবী
জেগে থাকে একা
স্নান করে জোছনায়।

পশুপাখি আর
গাছপালা সব
ঘুমায় নিশুতি রাতে,

রাতের পৃথিবী
জেগে থাকে একা,
চাঁদ ও তারার সাথে।

রাতের পৃথিবী,
চাঁদের নৌকোয়,
পাড়ি দেয় দূর দেশে।

রাতি কেটে,
ভোর হয়ে শেষে,

নতুন সকাল আসে।
গাঁয়ের পথে

ভোরের আলো উঠলো ফুটে
সকাল হয়ে এলো।
পূব-আকাশের লাল সূর্যটাকে
দেখতে লাগে ভালো।

প্রজাপতি ডানা মেলে,
বেড়ায় উড়ে ফুলে ফুলে,

প্রদোষকালে, ঝঞ্ঝা বাতাস
বইছে এলোমেলো।
দিঘির জলে উঠলো ফুটে
কমল কলিগুলো।

আমবাগানের ধারে ধারে,
খেজুর গাছের সারে সারে,
ছায়ায় ঘেরা পদ্ম দিঘির ঘাট।

গাঁয়ের পথে উড়িয়ে ধূলো,
দৌড়ে চলে গাই-গরুগুলো
দুপুর বেলায় ধূ ধূ করে মাঠ।







আশায় বাঁধি খেলাঘর

বিন্দু বিন্দু ঘাম আর ফোটা ফোটা জল
নয়নের অশ্রুজলে হেথা ফুটেছে কমল,
অঝোর অশ্রু ঝরে, বিশাল ধরণীর পর
তবুও আশায় বাঁধি আমি খেলা ঘর

কামনার নদীতে ভাসে ভালবাসার মৃতদেহ
মরে গেছে ভালবাসা, প্রেম, প্রীতি, স্নেহ
সুখের সংসার আজি শোকের সাগর,
তবুও আশায় আজি বাঁধি আমি খেলাঘর

সোনালী বিকেলে দেখি সূর্য অস্ত যায়
বকের পাখায় এক আলোক লুকায়
জোনাকিরা আলো দেয়, দেয় উত্তাপ প্রখর,
তবুও আশায় আজি, বাঁধি আমি খেলাঘর

Monday, 16 February 2015




গাঁয়ের পথে

ভোরের আলো উঠলো ফুটে
সকাল হয়ে এলো।
পূব-আকাশের লাল সূর্যটাকে
দেখতে লাগে ভালো।

প্রজাপতি ডানা মেলে,
বেড়ায় উড়ে ফুলে ফুলে,

প্রদোষকালে, ঝঞ্ঝা বাতাস
বইছে এলোমেলো।
দিঘির জলে উঠলো ফুটে
কমল কলিগুলো।

আমবাগানের ধারে ধারে,
খেজুর গাছের সারে সারে,
ছায়ায় ঘেরা পদ্ম দিঘির ঘাট।

গাঁয়ের পথে উড়িয়ে ধূলো,
দৌড়ে চলে গাই-গরুগুলো
দুপুর বেলায় ধূ ধূ করে মাঠ।































আমার গাঁয়ের কবিতা

আমার গাঁয়ে রাঙামাটির পথ
দুপাশে তার সবুজ গাছের সারি।
লালধুলো উড়িয়ে গাঁয়ের পথে,
গাড়োয়ান চালায় গোরুর গাড়ি।

দিগন্তে ওই নীল পাহাড়ের চূড়ো,
সুনীল আকাশ ছুঁয়ে যেতে চায়।
গাঁয়ের পাশে কংসাবতী নদী,
আপন বেগে সাগরপানে ধায়।

মাথার উপর প্রচণ্ড রোদ পড়ে
দুপুরবেলায় সারা আকাশ জুড়ে,
আমি শুধু একলা দেখি চেয়ে,
সাদা বক এক বেড়ায় উড়ে উড়ে।

ছাতা মাথায় খালি গায়ে ওই
ভর দুপুরে চলছে কারা পথে।
গোরু-বাছুর, ছাগল, ভেড়া মোষ
জল খায় ঐ পুকুর-ডোবাতে

বৈরাগী তার একতারাটি নিয়ে,
গাছতলাতে বসে গান গায়।
ছায়ায় ঘেরা গাঁয়ের চণ্ডীতলা
কবিগান হয় প্রতি সন্ধ্যাবেলায়।

































সবুজ স্মৃতির কবিতা

আর সবই গেছি ভুলি
ভুলিনি সেই দিন গুলি,
মনের কোনায় আজও স্মৃতি জাগে

নিমের দাঁতন হাতে নিয়ে,
রোজ কূয়ো তলায় গিয়ে,
হাতমুখ ধুতাম সূয্যি ওঠার আগে

চলত পথে সারি সারি,
ধান বোঝাই গরুর গাড়ি,
ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ যেত শোনা

ধুলিমাখা গাঁয়ের পথে,
বইখাতা নিয়ে হাতে,
পাঠশালায় নিত্য আনাগোনা

রোদ্দুর যেই আসে পড়ে,
পাঠশালার ছুটির পরে,
সবাই যে যার ঘরে ফিরে যায়

দেখি ফুলবাগানের মালি
আদুল গায়ে লাগিয়ে বালি,
মাটি কোপায়, গামছা বেঁধে মাথায়

সব ছেলে এসে জুটে,
আনন্দেতে মেতে উঠে,
সবার সাথে পাড়ার মাঠে, কানামাছি খেলা

খেলা সেরে ফিরি ঘরে,
পাখি আপন বাসায় ফেরে,
আরতি হয় মন্দিরেতে প্রতি সন্ধ্যাবেলা

মিলনের আনন্দ গীতি
শৈশবের সবুজ স্মৃতি,
মনের মাঝে মোর উঁকি দেয় বারে বার

মুদিয়া দেখি নয়ন মেলি,
হারানো সেই দিনগুলি
ফিরে ফিরে জাগে মনে সর্বদা আমার

























অভিশপ্ত ভ্যালেন্টাইন ডে

শান্তির সংসারে অশান্তির আগুন
জ্বেলে দেয় তিমির রাত্রি নিশীথে,
রোদন ভরা বসন্তে আজি ফাল্গুন
কেঁদে মরে তাই ব্যথা ভরা চিত্তে

শান্তির সংসারে ঐ অশান্তির ঝড়
ভেঙে দেয় সুখ আর স্বপ্নের নীড়
বেদনার বালুচরে আজ বাঁধে ঘর
নীরবে ঝরায় অশ্রু রাতের শিশির

শান্তির সংসারে দুঃখের অনলে
জ্বলে পুড়ে সুখ শান্তি ভালবাসা
সুখের সংসার অশান্ত দাবানলে
ঝলসে ওঠে মুকুলিত নব আশা

ইস্পাতের চাবুক চালায় বিদ্রোহীমন
নদীতে ভাসে ভালবাসার মৃতদেহ,
শাণিত করাত করে মস্তক ছেদন
অঝোরে রক্ত ঝরায় প্রেম প্রীতি স্নেহ

যুবতীর শরীরে গুলিবিদ্ধ বুলেট
কেড়ে নেয় মান সম্ভ্রম আর ইজ্জত
কালো চাদর মুখে জ্বলন্ত সিগারেট,
ধোঁয়াময় করে তোলে প্রকাশ্য রাজপথ

হত্যায় মাখা এই ধরণীর ধূলিতে
অশ্রু দিয়ে লেখা হয় রক্তাক্ত ইতিহাস
ভ্যালেন্টাইন ডে আজ রক্তিম প্রভাতে,
কেড়ে খায় যুবক-যুবতীর মুখের গ্রাস