শরতের কবিতা-2
বৃষ্টি বাদল সবই গেছে থেমে,
আকাশখানি সাদা মেঘে ঢাকা।
নদীর চরে নৌকা আছে বাঁধা,
খেয়াঘাটে মাঝির নাইকো দেখা।
সাদা কাশ ফুলের বনে বনে,
শালিক পাখি বেড়ায় উড়ে উড়ে।
বাতাসে বাতাসে পূজোর গন্ধ ভাসে,
খুশির আনন্দে চিত্ত ওঠে ভরে।
ধানের খেতে সবুজের সমারোহ
খেতের আলে ছাগল ভেড়া চরে।
গাঁয়ের ছেলে ডোবাতে ছিপ ফেলে,
বঁড়শি দিয়ে চ্যাং গড়ুই ধরে।।
ভর দুপুরে কলসী কাঁখে নিয়ে,
গাঁয়ের বধূরা চান করতে যায়।
গাছের ডালে বসে রাখাল ছেলে,
বাঁশের বাঁশি মিঠে সুরে বাজায়।
দিনের শেষে পড়ে আসে বেলা,
দিগন্তে লাল সূর্য ডুবে যায়।
পাখিরা সব কিচির মিচির করে,
দিনের শেষে ফেরে আপন বাসায়।
ঢাকের শব্দে মেতে ওঠে গ্রাম,
কাঁসর ঘণ্টা বাজে মন্দির মাঝে।
ধূপ দীপ জ্বলে সবার ঘরে ঘরে,
খুশির আনন্দে সাঁঝের সানাই বাজে।