Tuesday, 28 June 2016

ফুল ফোটে বনে বনে

ফোটে ফুলকলি বহিছে সমীর
প্রভাত সময় কালে,
করিছে কূজন প্রভাত পাখিরা
বসিয়া গাছের ডালে।

দিঘিতে ফোটে কুমুদ কমল
মরাল জলে ভাসে,
বাগানে ফোটে টগর বকুল
গগনে অরুণ হাসে।

গাঁয়ের রাখাল নিয়ে গরুপাল
তরুছায়ে করে খেলা,
গাঁয়ের চাষীরা লাঙল চালায়
আসে ফিরে সন্ধ্যাবেলা।

পান্থ পথিক আদুল গায়ে
ছাতা নিয়ে পথে চলে,
নির্জন দুপুর অলস বিবশ
শঙ্খচিলের কোলাহলে।

শান বাঁধানো পুকুরঘাটে
ধোপারা কাপড় কাচে,
বীর হনুমান ল্যাজ ঝুলিয়ে
বসে থাকে বটগাছে।

বিকেল হলেই বেলা পড়ে
সূর্য্যি ডোবে আঁধার নামে,
ক্লান্ত পাখিরা বাসায় ফেরে
প্রদীপ জ্বলে সারা গ্রামে।

না ফোটা ফুলের কলিরা
সবাই ঘুমায় ক্লান্ত হয়ে,
রাতের রজনীগন্ধারা জাগে
শত দুঃসহ ব্যথা সয়ে।

রাত কেটে শেষে সূর্য ওঠে
পূব আকাশের কোনে,
বহে সমীরণ, পাখীর কূজন
ফুল ফোটে বনে বনে।

পাড়ার হীরু সর্দার

আছে আমাদের পাড়াতে হীরু নামে এক সর্দার,
লাঠি হাতে হাঁকে রাতে “জাগতে রহো!খবর্দার”।
সারা রাত জেগে জেগে গাঁয়ে দেয় সে পাহারা,
ছিঁচকে চোর, দেয় দৌড়, দেখে বিকট চেহারা।

মালকোঁচা মেরে হীরু বাঁধে ধুতিখানা কোমরে,
আদুল গায়ে, খালি পায়ে, লাঠি ধরে শক্ত করে।
রাতবিরেতে কুকুর বেড়াল পালায় লাঠির ভয়ে,
চামচিকে আর বাদুড় ওড়ে মাথার উপর দিয়ে।

একদিন রাতে এলো এক মোটা  কেঁদো বাঘ,
কেঁদো বাঘ দেখে হীরুর হলো যে ভারি রাগ।
বাঁচার লড়াই তরে ঘুরায় লাঠি জোরে জোরে,
বন বন ঘোরে লাঠি, তাই বাঘ পালায় দৌড়ে।

হ্যারিকেন লণ্ঠণটা হীরু ধরে তার নিজ হাতে,
পাহারায় রত হীরু জেগে থাকে রোজ রাতে।