Friday, 18 September 2015

  শরতের কবিতা-5


শরতের প্রভাতে সোনা ঝরা রোদ্দুর
উঁকি দেয় নীল আকাশের আঙিনায়
শিউলির ডালে কলি ফুটিল সকলি
নদীর ধারে কাশফুল সুগন্ধ ছড়ায়

কচি কচি ধানগাছে ভরা খেত মাঠ,
যেদিকে তাকাই দেখি সবুজ চারিদিক
ঘাসের আগায় পড়ে নিশির শিশির,
সূর্যের আলোয় তারা করি ঝিকিমিক

শাল পিয়ালের বনে, দূরে মাদল বাজে
অরন্যের ঘুম ভাঙে পূজোর খুশিতে
ঢাকীরা সব বাজায় ঢাক, কাঁসর বাজায়,
সবার চিত্ত আজি আনন্দে উঠে মেতে

মেঠো পথে গাঁয়ের বাউল চলে গান গেয়ে
একতারাতে বাউলগানের তোলে মিঠে সুর
নয়ন দিঘির কালে জলে শালুক পদ্ম ফোটে,
সেই দিঘির জলে খেলা করে সোনালী রোদ্দুর

রোজ বিকেলে পাড়ার ছেলে খেলে হা ডু ডু,
খেলার মাঠে চু কিত্ কিত্ কানামাছি খেলা
ঢাকের শব্দে জেগে ওঠে গাঁয়ের বামুনপাড়া,
মন্দিরেতে ঘণ্টা বাজে, প্রতি সন্ধ্যে বেলা

বাঁশবাগানে বাঁশগাছের মাথার উপর দিয়ে
আকাশে চাঁদ ওঠে, জোছনা পড়ে ঝরে
শারদ প্রাতে শুনি প্রভাত পাখির গান

শরতের আগমনে খুশিতে চিত্ত ওঠে ভরে





   শরতের কবিতা-4

এসেছে শরত   লেগেছে পরশ,
   শিউলির ডালে ফুটিল কলি
বেলি, টগর, জুঁই,   শালুক পদ্ম
     হাসিছে পাপড়ি মেলে

সবুজ ধানখেতে  আধো জলে ডোবা
       কচি কচি ধানগাছ
রোদ্দুর পড়িলে,     স্বচ্ছে সলিলে
      খেলে ছোট পুঁটিমাছ

শাল পিয়ালের   বনেতে উড়িছে
     শালিক পাখির ঝাঁক
সাঁওতালীরা    মাদল বাজায়,
    ঢাকীরা বাজায় ঢাক

নদীপাড়ে ওড়ে,  কাশফুলের বনে
      সাদা বলাকার সারি
সেতুর ওপরে    পার হয়ে যায়
      দশটার রেলগাড়ি

পড়ে আসে বেলা, দিন শেষ হয়,
   সাঁঝের আঁধার নামে গাঁয়
মন্দির মাঝে     কাঁসর বাজে,
  ঢাকীরা নাচে ঢাক বাজায়